রবিবার, ৭ই জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৩শে আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

English

স্মরণীয় বাণী

পোস্ট হয়েছে: অক্টোবর ২৮, ২০২১ 

 

হযরত রাসূলে আকরাম (সা.) এরশাদ করেন : যে কেউ জ্ঞানার্জনের জন্য কিছু সময় বিনীতভাবে ধৈর্যধারণ করে থাকতে পারে না সে সবসময়ই মূর্খতার লাঞ্ছনার মধ্যে পড়ে থাকবে।
তিনি আরো এরশাদ করেন : আল্লাহ্্ তা‘আলা আমাকে সহজভাবে শিক্ষাদানকারী শিক্ষক হিসেবে উত্থিত করেছেন।
হযরত রাসূলে আকরাম (সা.) এরশাদ করেন : আমি কি তোমাদেরকে আচরণের বিচারে দুনিয়া ও আখিরাতের জন্য সর্বোত্তম ব্যক্তি কারা বলে দেব? (সাহাবিগণ) বললেন : জ্বী। তিনি এরশাদ করলেন : যে ব্যক্তি তার সাথে সম্পর্ক ছিন্নকারীর সাথে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করে।
মহানবী (সা.) আরো এরশাদ করেন : ব্যক্তি যদি তার কাঁধে করে লাকড়ি বহন করে এবং তা দ্বারা স্বীয় প্রয়োজন পূরণ করে, আর স্বীয় প্রয়োজনের অতিরিক্ত যা তা সাদাকাহ্ দেয়, এটা অন্যদের কাছে হাতপাতার চেয়ে উত্তম। কারণ, দাতার হাত গ্রহীতার হাতের চেয়ে উত্তম।
তিনি আরো বলেন : পাকস্থলী হচ্ছে শরীরের হাউযস্বরূপ এবং রগসমূহ এর সাথে সংযুক্ত। তাই পাকস্থলী যখন সুস্থ থাকে তখন রগসমূহ সুস্থতা সরবরাহ করে এবং পাকস্থলী যখন অসুস্থ হয়ে পড়ে তখন রগসমূহ অসুস্থতা সরবরাহ করে।
আমীরুল মু‘মিনীন হযরত আলী (আ.) এরশাদ করেন : কাজ যদিও কঠিন ও কষ্টকর, কিন্তু স্থায়ী কর্মহীনতা পাপাচার নিয়ে আসে।
হযরত আলী (আ.) এরশাদ করেন : যে কেউ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন খাবার খায়, ভালো করে চিবিয়ে খায়, পুরোপুরি তৃপ্ত হবার আগেই খাওয়া বন্ধ করে এবং পায়খানা-প্রস্রাবের বেগ হলে বিলম্ব করে না, মৃত্যু ছাড়া সে অসুস্থ হবে না।
হযরত ইমাম সাজ্জাদ (আ.) এরশাদ করেন : তোমার সন্তানের অধিকার এই যে, তুমি মনে রাখবে সে তোমার থেকেই এবং এ দুনিয়ায় তার ভালোমন্দ তোমার সাথে সম্পর্কযুক্ত।
হযরত ইমাম সাজ্জাদ্ (আ.) এরশাদ করেন : যে কেউ এমন অবস্থায় ভরাপেটে নিদ্রা যায় যে, তার কাছাকাছি কোনো মু‘মিন ক্ষুধার্ত থাকে তখন আল্লাহ্ বলেন : হে আমার ফেরেশতারা! আমি তোমাদেরকে আমার এই বান্দার ব্যাপারে সাক্ষী করছি যে, আমি তাকে আদেশ দিয়েছিলাম কিন্তু সে নাফরমানী করেছে ও অন্য কারো ফরমাবরদারী করেছে, তাই আমি তাকে তার আমলের ওপর রেখে দিলাম। আমার ইজ্জত ও প্রতাপের শপথ, আমি কখনোই তাকে ক্ষমা করব না।
হযরত ইমাম বাকের (আ.) এরশাদ করেন : চারটি গুণ যে কোনো মু‘মিনের মধ্যে থাকবে আল্লাহ্্ তাকে বেহেশতের সমুন্নততম স্তরে সর্বোত্তম কক্ষসমূহের একটিতে ও সমুন্নততম স্থানে জায়গা দেবেন, … : যে ব্যক্তি তার পিতা ও মাতাকে দান করবে, উভয়ের সাথে খাপ খাইয়ে চলবে, তাদের কল্যাণ করবে এবং তাদেরকে মনঃকষ্ট দেবে না।
হযরত ইমাম বাকের (আ.) এরশাদ করেন : বিভিন্ন ধরনের জুয়া খেলাকে কোরআন মজীদে মাইসির বলে গণ্য করা হয়েছে এবং এগুলোকে শয়তানের কাজ বলে গণ্য করা হয়েছে।
হযরত ইমাম জাফর সাদেক (আ.)-এরশাদ করেন : তোমরা আত্মীয়-স্বজনের খোঁজখবর নাও, কেবল সালাম করার মাধ্যমে হলেও।
হযরত ইমাম মূসা কাযেম্ (আ.) এরশাদ করেন : যে কেউ তার ভাইদের ও স্বীয় পরিবারের কল্যাণ সাধন করে তার হায়াত দীর্ঘ হয়।
(মাফাতীহুল্ হায়াত্ গ্রন্থ থেকে সংকলিত)
অনুবাদ : নূর হোসেন মজিদী