সোমবার, ১৫ই জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৩১শে আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

English

দেলিজনের নাখজির গুহা: ইরানের অন্যতম প্রাকৃতিক বিস্ময়

পোস্ট হয়েছে: মে ১৭, ২০১৬ 

news-image

ইরানের মারকাযি প্রদেশের একটি দর্শনীয় এলাকা হচ্ছে দেলিজন। দেলিজনের উত্তরে রয়েছে কোম, দক্ষিণে শাহিন শহর,পূর্বে কাশান এবং পশ্চিমে রয়েছে মাহাল্লত এলাকা।

4bk506233f35107im4_620C350এই এলাকার নাম দেলিজন হবার পেছনে ভিন্ন ভিন্ন মতামত রয়েছে। তবে যেটি বেশি গ্রহণযোগ্য তাহলো দেশের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো এই শহর অতিক্রম করেছে। আর বাণিজ্য কাফেলাসহ প্রায় সকল যাত্রীই বিশ্রাম নেওয়া বা যাত্রাবিরতির জন্য এই শহরে থামতো। সে সময় দুই চাকা বা চার চাকার ঘোড়ার গাড়ি ব্যবহৃত হতো। ঘোড়াগুলোকে বিশ্রাম দেওয়া বা ঘোড়ার গাড়ি মেরামত করার জন্যও কাফেলা এখানে যাত্রাবিরতি করতো। সেকালে দুই চাকা বা চার চাকার ঘোড়ার গাড়িকে ‘দেলিজন’ নামেও অভিহিত করা হতো। সে কারণেই শহরটির নামকরণ করা হয়েছে ‘দেলিজন’।

4bk50c36d7b8237ima_620C350যেহেতু যাত্রাবিরতির জন্যে একটি উপযুক্ত স্থান ছিল এটি, সেহেতু এখানে যে থাকা-খাওয়ার উপযুক্ত ব্যবস্থা থাকবে কিংবা থাকবে প্রয়োজনীয় সরাইখানা,তা তো আর বলারই অপেক্ষা রাখে না। এখানকার আবহাওয়া মোটামুটি শুষ্ক। খোমেইনের মতো এখানকার অর্থনীতিরও মূল ভিত্তি হলো কৃষিকাজ এবং পশুপালন। দেলিজনের প্রধান প্রধান কৃষিপণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে গম, যব, বিভিন্ন প্রকার দানাদার শস্য এবং বিচিত্র ফল-ফলাদি। দেলিজনের উল্লেখযোগ্য ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলোর মধ্যে রয়েছে আব্বাসী সরাইখানা,নারগ বাজার,ইমামযাদা ইয়াহিয়া ও সুলাইমানের মাযার ইত্যাদি।

4bk5ada58a89967ilj_800C450এছাড়াও এখানে রয়েছে বেশ কয়েকটি গুহা। এগুলোর মধ্যে  নাখজির গুহা হচ্ছে ইরানের অন্যতম প্রাকৃতিক বিস্ময়। এ গুহাটি দেলিজন শহর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। সূত্র: পার্স টুডে

 

4bk5643fdc2fc27iky_800C450

4bk58d4f8817067ils_800C450