বৃহস্পতিবার, ৪ঠা জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২০শে আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

English

ঢাকায় আনজুমানে ফারসি বাংলাদেশের কার্যনির্বাহী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

পোস্ট হয়েছে: আগস্ট ২৯, ২০২৩ 

news-image

গত ২৮ আগস্ট, সোমবার ঢাকাস্থ ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে আন্‌জুমানে ফারসি বাংলাদেশের কার্যনির্বাহী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের রাষ্ট্রদূত মানসুর চাভোশি । সভায় আন্‌জুমানে ফারসি বাংলাদেশের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যদের পাশাপাশি সংগঠনের উপদেষ্টা ঢাকাস্থ ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের কালচারাল কাউন্সেলর সাইয়্যেদ রেজা মির মোহাম্মাদি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের ইরানি ভিজিটিং প্রফেসর ড. মাজিদ পুয়ন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ বাহাউদ্দিন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সিনিয়র শিক্ষক প্রফেসর ড. কে এম সাইফুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।

সভায় বাংলাদেশে নিযুক্ত ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের রাষ্ট্রদূত মানসুর চাভোশি বলেন, ‘করোনাসহ বিভিন্ন নেতিবাচক পরিস্থিতির কারণে আনজুমানের স্বাভাবিক গতিশীলতা ব্যাহত হয়েছে। তবে এখন আমাদের সেসব নিয়ে ভাবলে চলবে না। ফারসি ভাষার প্রসার এবং আনজুমানে ফারসি বাংলাদেশের সমৃদ্ধিতে আমাদের সকলেরই মিলেমিশে কাজ করতে হবে, কেননা, এটি আমাদের সকলের সাথে সংশ্লিষ্ট। তরুণ শিক্ষার্থীদের মনোবল ও উদ্যম আর প্রবীণদের অভিজ্ঞতার সমন্বয়ে এই সংগঠনটিকে আমাদের সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। এবং এজন্য প্রয়োজনীয় যেকোন পদক্ষেপের প্রতি যথাযথ সম্মান জানাতে ইরান দূতাবাস সদা প্রস্তুত।’

সভায় ঢাকাস্থ ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সম্মানিত কালচারাল কাউন্সেলর সাইয়্যেদ রেজা মির মোহাম্মাদি বলেন, ‘আনজুমানকে পূর্বের তুলনায় অধিক কার্যকর ও প্রসারিত করতে আমরা সংশ্লিষ্ট সকলের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করি। আনজুমানের বিকাশে যে কোন নতুন আইডিয়া বা প্রস্তাবকে আমরা স্বাগত জানাই । যতদ্রুত সম্ভব আমরা একটি নতুন কার্যকরী পরিষদ গঠন করবো এবং নবীন-প্রবীন সকলের সমন্বয়ে চমৎকারভাবে আনজুমানকে বিকশিত করবো।’ তিনি নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও আনজুমানের কার্যক্রম অব্যাহত রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।

সভায় আনজুমানে ফারসির বর্তমান সভাপতি ড. ঈসা শাহেদী বলেন, ‘মাত্র ১০/১৫ বছর আগেও অবস্থা এমন ছিল যে বাংলাদেশের প্রতিটি শীর্ষ সংবাদপত্রে প্রায় প্রতি মাসেই আনজুমানে ফারসির বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের খবর নিয়মিত ছাপা হতো। বাংলাদেশের ফারসিপ্রেমীদের জমায়েত ছিলো একটি নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। বর্তমানে আমরা সেই অবস্থা থেকে অনেকটাই সরে এসেছি। এটা পুনরুজ্জীবিত করা আবশ্যক। আর আনজুমান সেক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। তিনি প্রস্তাব করেন শুধু বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে বিভিন্ন স্বনামধন্য মাদ্রাসা ও শীর্ষস্থানীয় আলেম ও রুহানি নেতাদেরও এই আনজুমানের সদস্য করা উচিত, তবে এর ব্যবস্থাপনা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর হাতে থাকাটাই উত্তম হবে। তিনি আরো বলেন, ফারসি বন্ধুদের মধ্য থেকে অধিক উপযুক্ত, সক্রিয়, আলোকিত এবং জ্ঞানী ব্যক্তিদেরই আনজুমানের ভবিষ্যত কাণ্ডারী হিসেবে পরবর্তী সাধারণ সভায় দুই বছরের জন্য নির্বাচিত করতে হবে। তিনি এই সভা আয়োজন ও আন্তরিক সমন্বয়ের জন্য নবাগত সম্মানিত ইরানি রাষ্ট্রদূত ও কালচারাল কাউন্সেলরকে ধন্যবাদ জানান।

সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন  সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইন্সটিটিউটের ফারসি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক শামীম বানু। সভায় আরো বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সহ সভাপতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. মহসিন উদ্দিন মিয়া, যুগ্ম সম্পাদক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আহসানুল হাদি, কোষাধ্যক্ষ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইন্সটিটিউটের ফারসি বিভাগের শিক্ষক এ্যাডভোকেট কামাল হোসেন, প্রচার সম্পাদক শেইখ মোহাম্মদ ওসমান গণি, অনুবাদ ও গবেষণা সম্পাদক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মেহেদি হাসান ও দপ্তর সম্পাদক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সিনিয়র প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইব্রাহিম খলিল,  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষক ড. সিদ্দিকুর রহমান খান, জামিয়াতুল মোস্তফা বিশ্ববিদ্যালযের শিক্ষক শাহনাজ আরেফিন এবং ঢাকাস্থ ইরানিয়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ভাইস প্রিন্সিপাল ড. আব্দুল কুদ্দুস বাদশাহ ।