বৃহস্পতিবার, ৪ঠা জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২০শে আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

English

কুদস মুক্ত করতে হলে মুসলমানদের মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠা জরুরি

পোস্ট হয়েছে: জুন ১২, ২০২০ 

 

সিরাজুল ইসলাম

মসজিদুল আকসা, বায়তুল মুকাদ্দাস ও ফিলিস্তিনÑ পবিত্র এ নামগুলো মুসলমানদের ঈমান ও সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। মসজিদুল আকসা, বায়তুল মুকাদ্দাস ও ফিলিস্তিনের প্রতি ভালোবাসা প্রতিটি মুমিনের হৃদয়ের গভীরে প্রোথিত। পবিত্র নগরী বায়তুল মুকাদ্দাস হচ্ছে মক্কা মু’আজ্জামা ও মদিনা মুনাওয়ারার পর ইসলামের তৃতীয় পবিত্র স্থান, যেখানে অবস্থিত ইসলামের প্রথম কিবলা মসজিদুল আকসা।
মসজিদুল হারাম, মসজিদে নববী ও বায়তুল মুকাদ্দাসে অবস্থিত মসজিদুল আকসার উদ্দেশে সফর বিশেষ সওয়াবের কাজÑ সেকথা ঘোষণা করেছেন স্বয়ং রাসূল (সা.)। মহানবী (সা.)-এর হিজরতের আগে মক্কায় এবং হিজরতের পরে মদিনায় বেশকিছু দিন মসজিদুল আকসাই ছিল মুসলমানদের কিবলা। পরে আল্লাহ তাআলার আদেশে মক্কা নগরীর কাবাঘর কিবলা হিসেবে নির্ধারিত হয়। রাসূলে আকরাম (সা.) এ মসজিদুল আকসা থেকেই মিরাজে গিয়েছিলেন। তাই
বায়তুল মুকাদ্দাস সাধারণ কোনো ভূখ- নয়। বায়তুল মুকাদ্দাস ও তার আশপাশের এলাকা তথা সমগ্র ফিলিস্তিন ভূমি বহু নবী-রাসূলের (আ.) স্মৃতিবিজড়িত এবং কোরআন মজিদে পুরো এই ভূখ-কে ‘আরদে মুকাদ্দাস’ বা ‘পবিত্র ভূমি’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। সুতরাং হাদিসের বর্ণনা অনুযায়ী, হযরত আদম (আ.) মক্কায় কাবাঘর নির্মাণের চল্লিশ বছর পর বায়তুল মুকাদ্দাস শহরে মসজিদুল আকসা নির্মাণ করেন। এরপর হজরত সুলায়মান (আ.) বায়তুল মুকাদ্দাসের এ পবিত্র মসজিদের পুনঃনির্মাণ করেন। কিন্তু বিভিন্ন ঘটনাপ্রবাহে ওই মসজিদ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। ৬৩৮ খ্রিস্টাব্দে বায়তুল মুকাদ্দাস মুসলমানদের অধিকারে আসে এবং পরবর্তীকালে ওই পবিত্র স্থান আবাদ করে সেখানে মসজিদুল আকসা ও কুব্বাতুস সাখরাহসহ (মসজিদ) বিভিন্ন স্থাপনা নির্মিত হয়। ১০৯৬ খ্রিস্টাব্দে ইউরোপের ক্রুসেডার খ্রিস্টানরা সমগ্র সিরিয়া ও ফিলিস্তিন দখল করে নেয়ার পর বায়তুল মুকাদ্দাসের বিভিন্ন ইসলামি স্থাপনায় পরিবর্তন করে, বিশেষ করে মসজিদুল আকসাকে গির্জায় পরিণত করে। এরপর ১১৮৭ খ্রিস্টাব্দে সালাহউদ্দীন আইয়ুবি বায়তুল মুকাদ্দাস শহরকে আবারও মুসলমানদের অধিকারে নিয়ে আসেন। অবশেষে ব্রিটিশ সরকার ফিলিস্তিনকে আরব ও ইহুদিদের মধ্যে ভাগ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে। ফলে ১৯৪৮ সালের ১৫ মে ফিলিস্তিনে অবৈধ ইহুদিবাদী ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়।
এ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা লাভের পর ইহুদিরা আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠে এবং মুসলমানদের ওপর ব্যাপকভাবে হত্যাযজ্ঞ চালায়। তাদের অত্যাচারে জর্জরিত আরবরা জীবন বাঁচাতে দলে দলে দেশ ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়। এ সত্ত্বেও তখনও বায়তুল মুকাদ্দাস মুসলমানদের দখলে ছিল। কিন্তু ১৯৬৭ সালের আরব-ইসরাইল যুদ্ধে তা মুসলমানদের হাতছাড়া হয়ে যায়। ফিলিস্তিনের নির্যাতিত জনগণ দীর্ঘদিন ধরে তাদের আবাসভূমি ও আল-কুদস (বায়তুল মুকাদ্দাস) উদ্ধারের জন্য রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম চালিয়ে যেতে থাকে। তাদের সংগ্রামে দিশেহারা হয়ে ইহুদিবাদী ইসরাইল ফিলিস্তিনি জনগণের মধ্যে ভাঙন ধরানোর জন্য ফিলিস্তিনের একটি ক্ষুদ্র অংশে সীমিত স্বায়ত্তশাসনের কথা বলে কিছুসংখ্যক নেতাকে আপসকামী ভূমিকায় নিয়ে আসে। তথাকথিত শান্তি আলোচনার সুযোগে তারা একে একে ফিলিস্তিনের প্রকৃত সংগ্রামী নেতাদের হত্যা করে চলেছে এবং ফিলিস্তিনের নতুন নতুন এলাকা দখল করে ইহুদি বসতি সম্প্রসারণ অব্যাহত রেখেছে, এমনকি ফিলিস্তিনে মানবিক ত্রাণসহায়তা পৌঁছাতে পর্যন্ত বাধা দিচ্ছে। এ ধরনের অমানবিক কার্যক্রম তারা এখনও অব্যাহত রেখেছে। এছাড়া তারা ফিলিস্তিনের গাজা ভূখ-ে বারবার বিমান হামলা চালিয়ে নারী, শিশু ও বৃদ্ধসহ এ পর্যন্ত কয়েক হাজার নিরীহ মানুষকে হত্যা করেছে এবং হাজার হাজার বাড়িঘর, মসজিদ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও হাসপাতাল ধ্বংস করেছে। ইহুদিবাদীদের ষড়যন্ত্র ও ধ্বংসলীলা আজ ফিলিস্তিনি ভূখ-ে সীমাবদ্ধ নেই। সমগ্র মধ্যপ্রাচ্যে, বিশেষ করে সিরিয়া, ইরাক, ইয়ামেন, লিবিয়া, বাহরাইনসহ গোটা আরব বিশ্বে মুসলিম দেশগুলোর যায়নবাদী আগ্রাসন ছড়িয়ে পড়েছে। এই ইহুদিবাদীদের ষড়যন্ত্রের ফাঁদে কোনো কোনো মুসলিম শাসক পতিত হয়েছেন। ফলে লাখ লাখ মুসলিম হত্যার শিকার হয়েছে। কোটি মুসলিম নিজ বাড়িঘর থেকে বিতাড়িত হয়ে ইউরোপসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে। সেসব জায়গায় ফিলিস্তিনি জনগোষ্ঠী মানবেতর জীবনযাপন করছে।
ইহুদিবাদীদের পরিকল্পনা ছিল গোটা আরববিশ্ব দখল করার। কিন্তু ফিলিস্তিনিদের দীর্ঘ সংগ্রামের পাশাপাশি অন্যান্য আরব রাষ্ট্রের জনগণও আজ জেগে উঠছে। তারা নিজ নিজ দেশে শান্তি ও মুক্তির সংগ্রামের পাশাপাশি ফিলিস্তিনিদের অধিকারের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। ইহুদি আগ্রাসন শুরুর দিন থেকেই কোনো না কোনো গ্রুপ প্রতিরোধ সংগ্রাম করে যাচ্ছে। হামাস, জিহাদ আন্দোলন, হিজবুল্লাহ এক্ষেত্রে আশাজাগানিয়া ভূমিকা রাখছে। ফলে সাম্প্রতিক দশকে তিনবার ইসরাইল যুদ্ধে পরাজিত হয়েছে।
অন্যদিকে ওআইসি, ন্যাম, জাতিসংঘ সবসময়ই ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার পক্ষে প্রস্তাব পাস করে আসছে। বিশ্বজনমত আজ ফিলিস্তিনের পক্ষে এবং আরববিশ্বের ‘ক্যান্সার’ খ্যাত ইসরাইলের বিপক্ষে। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা ও আল-কুদস মুক্তির দাবিতে সোচ্চার বিশ্বের সব ইসলামি পক্ষ। প্রতিবছর কুদস শরীফ মুক্ত করার লক্ষ্য নিয়ে বিশ্বের দেশে দেশে আন্তর্জাতিক কুদস দিবস পালিত হয়। শিয়া-সুন্নি, আরব-অনারবসহ সবাই বিশ্ব মুসলিমের ঐক্য ও আল কুদস-ফিলিস্তিনের মুক্তির কথা বলে। এ ঐক্যে ফাটল ধরানোর বহুবিধ প্রচেষ্টা এরই মধ্যে ব্যাপকভাবে শুরু হয়েছে। এর পাশাপাশি ইহুদিবাদী চক্রের এজেন্টরা মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে উগ্রবাদী জঙ্গিগোষ্ঠী প্রতিষ্ঠা করেছিল। যারা পর¯পরকে কাফের ফতোয়া দিয়ে হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে থাকে। এসব জঙ্গিগোষ্ঠী নিজেদের ইসলামি বলে দাবি করলেও ফিলিস্তিন এবং আল কুদসের ব্যাপারে যেমন কোনো কথা বলে না, তেমনি ইসরাইলের সন্ত্রাসী কর্মকা-েরও প্রতিবাদ করে না। উপরন্তু মধ্যপ্রাচ্যে তাদের উগ্র হাঙ্গামার কারণে ফিলিস্তিন ও আল কুদস ইস্যু চাপা পড়ে যাচ্ছে।
ষড়যন্ত্রকারীরা নতুন নতুন দল-উপদল সৃষ্টি করে অর্থ, অস্ত্র ও অন্যান্য সহায়তা দিয়ে যুদ্ধের বিস্তার ঘটানোর মাধ্যমে মুসলমানদের শক্তিকে দুর্বল করার চেষ্টায় নিয়োজিত হয়েছে। একই সঙ্গে তারা এ কর্মকা-ের মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যের মূল সমস্যা ফিলিস্তিন ইস্যু থেকে মুসলমানদের দৃষ্টি অন্যদিকে সরিয়ে দেয়ার এবং মুসলমানদের মধ্যে অনৈক্যের বীজ বপনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এরই মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রা¤প জেরুসালেম বা বায়তুল মুকাদ্দাসকে ইহুদিবাদী ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। ২০১৮ সালের ১৪ মে মার্কিন দূতাবাস তেলআবিব থেকে জেরুসালেমে স্থানান্তরের সময় নিরস্ত্র প্রতিবাদী ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলের বর্বর সেনাবাহিনীর গুলিতে শতাধিক ফিলিস্তিনি শহীদ হন এবং বর্বোরচিত হামলায় আহতের সংখ্যা ২,৫০০-এ পৌঁছায়। ২০১৮ সালের ১৫ মে ছিল ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলি দখলদারিত্বের তথা মহাবিপর্যয়ের (নাকাবা) ৭০ বছর। এদিন উপলক্ষে আয়োজিত তাদের বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ মিছিলে গুলি চালানোর কোনো বৈধতা ইসরাইলের নেই। স¤পূর্ণ অন্যায় ও বর্বরোচিতভাবে ফিলিস্তিনিদের যুগের পর যুগ হত্যা করে আসছে ইসরাইল। এর প্রতিবাদে সমগ্র মুসলিমবিশ্ব প্রতিবাদ জানাচ্ছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত কিছু আরব শাসক ইসরাইলি এ নৃশংসতার প্রতিবাদ না করে পরোক্ষভাবে তাদের ঘৃণ্য কাজে সহযোগিতায় লিপ্ত রয়েছে। শুধু তাই নয়, বেশ কিছু আরব দেশ ইসরাইলের সঙ্গে এখন প্রকাশ্যে স¤পর্ক স্থাপনের জোরদার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।
সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রা¤প ও ইসরাইলের যুদ্ধবাজ প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ফিলিস্তিনের মুক্তিসংগ্রামকে চিরতরে নিঃশেষ করার লক্ষ্যে এক ভয়াবহ ষড়যন্ত্রমূলক চুক্তি (‘ডিল অব দ্য সেঞ্চুরি’ বা শতাব্দীর সেরা চুক্তি) স্বাক্ষর করেছেন। যে মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিশ্বের প্রায় সব পক্ষ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের অস্তিত্বকে মেনে নিয়ে একটি শান্তিপূর্ণ সমঝোতায় পৌঁছার জন্য তৎপর, ঠিক তখনই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রা¤প কতিপয় আরব রাষ্ট্রের সহযোগিতায় ফিলিস্তিনিদের স্বাধীন রাষ্ট্রকে সমূলে বিনাশ করার লক্ষ্যে ইহুদিবাদী ইসরাইলের সঙ্গে শতাব্দীর সেরা চুক্তি (!) স্বাক্ষর করে তা বাস্তবায়নের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছেন।
এ চুক্তি মোতাবেক স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের কোনো অস্তিত্ব নেই। গাজা উপত্যকা, জিহুদিয়া পার্বত্য অঞ্চল ও পশ্চিম তীরের সামারিয়া অঞ্চল নিউ প্যালেস্টাইন নামে পরিচিত হবে। আর বাকি সব অঞ্চল, এমনকি এসব এলাকার ইহুদি বসতিগুলো সব স্বাধীন রাষ্ট্র ইসরাইলের অন্তর্ভুক্ত থাকবে। জেরুসালেম ইসরাইল ও নিউ প্যালেস্টাইনের যৌথ রাজধানী হবে। আরবরা নিউ প্যালেস্টাইন এবং ইহুদিরা ইসরাইলের নাগরিক হিসেবে গণ্য হবে। নিউ প্যালেস্টাইনের কোনো সেনাবাহিনী থাকবে না। হালকা অস্ত্রধারী পুলিশ থাকবে। বহিঃশত্রু থেকে তাদের রক্ষার দায়িত্বে থাকবে ইসরাইল। অর্থাৎ সেনাবাহিনী অস্ত্রভা-ার সবই থাকবে ইহুদিদের ও ইসরাইলের নিয়ন্ত্রণে। জেরুসালেমের নিয়ন্ত্রণ থাকবে ইসরাইলি পৌরসভার হাতে।
পিএলও, হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে এ বিষয়ে একটি চুক্তি করে এর বাস্তবায়ন করা হবে। পিএলও যদি চুক্তিতে রাজি না হয়, তাহলে তাদের সব সাহায্য বন্ধ করে দেয়া হবে। অন্যদিকে হামাস যদি রাজি না হয়, তাহলে সরাসরি যুদ্ধ করে হামাসকে নির্মূল করে দেয়া হবে। সেক্ষেত্রে ইসরাইলের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি অংশগ্রহণ করবে। সৌদি আরব, মিসর, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন ও জর্দান এ চুক্তির পক্ষে এরই মধ্যে প্রচারণা শুরু করেছে। সৌদি যুবরাজ মুহাম্মাদ বিন সালমান পিএলওকে অর্থ সাহায্যের কথা বলে চাপ সৃষ্টি করছেন।
মূলত পবিত্র বায়তুল মুকাদ্দাস তথা আল কুদসের মুক্তি ও স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের সংগ্রামকে সমূলে বিনাশ করার জন্যই ইসরাইলের জন্মদাতা ব্রিটিশ, আমেরিকা এবং ইহুদিদের বন্ধু কিছু আরব রাষ্ট্র এক মহাষড়যন্ত্র নিয়ে মাঠে নেমেছে। তাই আজ বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের এর বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়া অপরিহার্য। সবাইকে একথা জানিয়ে দেয়া দরকার যে, ইহুদি রাষ্ট্র ইসরাইলের কবল থেকে আল- কুদসের মুক্তি এবং স্বাধীন সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাই মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির একমাত্র পথ।
১৯৭৯ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ইরানে ইসলামি বিপ্লব সফল হয়। এই বিপ্লবের মহান নেতা হযরত ইমাম খোমেইনী (রহ.) মসজিদুল আকসাসহ সমগ্র ফিলিস্তিনকে মুক্ত করার লক্ষ্যে মুসলিম উম্মাহকে প্রতিবছর রমজানের শেষ শুক্রবার ‘আল-কুদস দিবস’ হিসেবে পালনের জন্য আহ্বান জানান। সেই থেকে প্রতিবছর বিশ্বে এ দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। কিন্তু প্রতিবছর গতানুগতিকভাবে আন্তর্জাতিক কুদস পালন না করে বরং আল-কুদসকে কীভাবে প্রকৃত অর্থে মুক্ত করা যায় সে বিষয়টি নিয়ে চিন্তভাবনা করা দরকার। এ সংগ্রামের পথে সবচেয়ে বড় যে বাধাÑ মুসলমানদের অনৈক্য তাকে সবার আগে সমূলে বিনাশ করতে হবে। তাহলে আশা করা যায় পবিত্র আল-কুদস আবার মুসলমানদের হাতে আসবে। ফিলিস্তিনি ভূমিও স্বাধীন হবে।
লেখকÑ সাংবাদিক ও কলামিস্ট