বৃহস্পতিবার, ৪ঠা জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২০শে আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

English

ইয়াযদ শহর: ইরানের মরুভূমির মুক্তা

পোস্ট হয়েছে: সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৬ 

news-image
ইরানের কেন্দ্রীয় পর্বতমালার পাশে অবস্থিত ইয়াযদ প্রদেশের প্রধান শহরের নাম ইয়াযদ। মরু আঞ্চলিক শহরগুলোর মধ্যে এটি ইরানের অন্যতম প্রাচীনবৃহত্তম ও সুন্দর শহর হিসেবে স্বীকৃত।ইয়াযদ মানে হলো পাক পবিত্র। ইয়াযদ শহরটির বৈশিষ্ট্য তার নাম থেকে সুস্পষ্ট হয়ে যায়। ইয়াযদ শহরের স্থাপনাগুলোর ইতিহাস নিয়ে কিছুটা মতানৈক্য রয়েছে। কেউ কেউ বলেন এখানকার প্রথম স্থাপনাটি গড়ে উঠেছে আলেকজান্ডারের হাতে। বলা হয়ে থাকে আলেকজান্ডার এই শহরটি তৈরি করেছিলেন কারাগার হিসেবে। যারা শাস্তিপ্রাপ্ত তাদের জন্য এবং নির্বাসনে দেয়ার জন্য এই শহরটি গড়ে তুলেছিলেন তিনি। এ কারণে আলেকজান্ডারের কারাগার নামেও এই শহরের প্রসিদ্ধি আছে।
4bk9ea34fd61e5en6j_800c450
 
বলা হয়ে থাকে, আলেকজান্ডার যখন ইরানের ওপর দখলদারিত্ব প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তখন তেহরানের কাছাকাছি রেইনামক বিখ্যাত এবং ঐতিহাসিক শহরের বেশ কজন ব্যক্তিত্ব তার বিরোধিতা করেছিলেন। আলেকজান্ডার সেইসব মহান ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে ইয়াযদ অতিক্রম করার সময় সেখানকার একটি কূপে তাঁদেরকে বন্দি করে রেখেছিলেন। ওই স্থানটিকে গ্রিক ভাষায় জিন্দান বা কারাগার বলে।
 4bk9b503dc6bd3en6s_800c450
আলেকজান্ডার যখন ইয়াযদ থেকে বেরিয়ে যান তখন ওই কারাবন্দিরাই রক্ষীদের সাহায্য নিয়ে শহরটিকে আবাদ করার উদ্যোগ নেয়। অনেক ইতিহাসবিদের মতেইয়াজদের গোড়াপত্তন হয়েছিল সাসানি শাসক প্রথম ইয়াযদগার্দ্ এর হাতে। তার নামের সাথে মিল রেখেই শহরটির নাম রাখা হয়েছে ইয়াযদ।
4bk9f7c8eab5a6dnum_800c450
 
হিজরি পঞ্চম শতক থেকে এই শহরটির বিকাশ ঘটে। আতাবাকিরাই এই শহরের উন্নয়নে অবদান রেখেছিল। ইয়াযদেও দেখার আছে অনেক কিছু। বিশ্ব পর্যটকরা এই শহরে প্রায়ই বেড়াতে আসে ইয়াযদের মসজিদে কাবিরফাহরাজ জামে মসজিদসাইয়্যেদ রোকনুদ্দিনের সমাধিদৌলতাবাদ বাগিচাআমিরে চাখমখ মসজিদঅগ্নিমন্দিরটাওয়ার ইত্যাদি দেখার জন্য।
4bk9436b89a74aen6y_800c450
4bk9ec6d91cea3en7m_800c450
4bk934605db761en7p_800c450