মঙ্গলবার, ২রা জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৮ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

English

ইরানের ইসলামি বিপ্লবে ইমাম খোমেইনীর (র.) অবদান

পোস্ট হয়েছে: জুন ১৫, ২০২১ 

news-image

-ড. মুহাম্মদ ঈসা শাহেদী : 
ইরানে ইসলামি বিপ্লব বিজয় লাভ করে ১৯৭৯ সালে। এ বিপ্লবের প্রধান স্লোগান ছিল : ‘লা শারকী ওয়া লা গারবী, জামহুরিয়ে ইসলামি’ – ‘প্রাচ্যও নয়, পাশ্চাত্যও নয়, ইসলামি প্রজাতন্ত্র’। প্রাচ্য বলতে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং এশিয়া, ইউরোপ, এমনকি আরব ও আফ্রিকার কোনো কোনো দেশও সোভিয়েত বলয়ভুক্ত ছিল। আর পাশ্চাত্য বা আমেরিকার বলয়ভুক্ত ছিল ইউরোপ, আমেরিকা, এশিয়া, আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়ার বিশাল ভূখণ্ড। তখনকার বিশ্ব রাজনীতিতে এমন বিশ্বাস বদ্ধমূল ছিল যে, এ দুই শক্তিবলয় বা পরাশক্তির বশ্যতা না মেনে পৃথিবীর কোথাও কোনো রাষ্ট্রক্ষমতা প্রতিষ্ঠিত বা পরিচালিত হতে পারে না। কিন্তু এই মিথ্যা ধারণা ও বিশ্বাসে পদাঘাত হেনে ইসলামি বিপ্লবের নেতা হযরত ইমাম খোমেইনী (র.) এমন এক বিপ্লব সংগঠিত করেন যা ইতিহাসের অনেক হিসাব-নিকাশকে ভুল প্রমাণিত করে দেয় এবং এক সর্বাত্মক গণবিপ্লবের মাধ্যমে ইসলামি বিপ্লব বিজয় লাভ করে। ইরানে ইসলামি প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয় এবং এখনো তা সগৌরবে বলবৎ আছে। এ কারণে এ বিপ্লব বিশ্বের তাবত মজলুম মানুষ, বিশেষ করে বঞ্চিত নিপীড়িত মুসলমানদের মনে আশার সঞ্চার করে। কারণ, ইরানের ইসলামি বিপ্লব দুটি বৃহৎ শক্তির বলয়বৃত্তে শৃঙ্খলিত মানুষের মনে নতুন আশার সঞ্চার করে।
দীর্ঘকাল ধরে সর্বসাধারণের মাঝে বদ্ধমূল ধারণা ছিল ইসলাম একটি সুন্দর ও শ্রেষ্ঠ ধর্ম হলেও কোনো রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষমতা ইসলামের নেই। অন্য কথায়, কোনো ইসলামি রাষ্ট্র আধুনিক যুগে চলতে পারে না। কিন্তু হযরত ইমাম খোমেইনী (র.) এ ধারণা ভুল প্রমাণ করে দেন। তিনি বাস্তবে দেখিয়ে দেন যে, বিশ্বের পরাশক্তিগুলোর বিরোধিতা সত্ত্বেও এবং তাদের সব ধরনের ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে ইসলামি আদর্শের ভিত্তিতে রাষ্ট্র্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনা করা সম্ভব। ইরানের সরকারব্যবস্থা বা রাষ্ট্রীয় কাঠামো পর্যালোচনা করলে যে কেউ এ কথা স্বীকার করতে বাধ্য হবেন যে, এ ব্যবস্থা অত্যন্ত নিখুঁত, উন্নত, আধুনিক ইসলামি আদর্শের অনুসারী হওয়ার সাথে সাথে প্রগতিশীল। এতে সর্ব স্তরে জনগণের অংশগ্রহণ ও ইসলামি আদর্শের অনুসরণ নিশ্চিত করা হয়েছে। ইরানের মজলিসে শুরায়ে ইসলামি (পার্লামেন্ট), সাংবিধানিক অভিভাবক পরিষদ, দেশের সর্বোচ্চ নেতা নির্বাচনী বিশেষজ্ঞ পরিষদ, জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ, বিচারব্যবস্থার উপর নজরদারির জন্য সর্বোচ্চ বিচার পরিষদ প্রভৃতির বিন্যাস এতই নিখুঁত যে, এর ফলে ইসলামি বিপ্লবের মূল লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত হওয়ার সুযোগ নেই।
ইরানের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ শিয়া মাজহাবের অনুসারী। কাজেই ইরানের ইসলামি বিপ্লবে শিয়া মাজহাবের প্রভাব থাকবে এটাই স্বাভাবিক। শিয়া মাজহাবের ‘আক্বীদাহ্ অনুযায়ী উম্মতের হেদায়তের জন্য ১২ জন ইমাম আল্লাহ ও রাসূলের (সা.) পক্ষ হতে নির্ধারিত। বারো ইমামের সর্বশেষ যিনি তিনি ইমাম মাহদী (‘আ.)। ইমাম মাহদী গায়েব হয়েছেন (আত্মগোপন করেছেন) অনেক আগে। ফলে বর্তমানে সামাজিক বা রাষ্ট্রব্যবস্থায় সঠিক নেতৃত্ব দেয়ার জন্য কোনো ইমাম নেই। এর ভিত্তিতে সাধারণভাবে মনে করা হতো যে, ইমামের অনুপস্থিতিতে ধর্মের ভিত্তিতে রাষ্ট্র পরিচালনা সম্ভব নয়। হ্যাঁ, যখন ইমাম মাহদী (‘আ.) পুনরায় আবির্ভূত হবেন তখন তিনি এ পৃথিবীকে সুবিচার ও সুশাসনে ভরে তুলবেন, ইসলামের সত্যিকার বাস্তবায়নে সমগ্র দুনিয়ায় শান্তি সুখের রাজত্ব প্রতিষ্ঠিত হবে; কাজেই ইমাম মাহদী (‘আ.) ও ইসলামি বিশ্ববিপ্লবের জন্য অপেক্ষায় থাকাই এখনকার সময়ের দাবি। হযরত ইমাম খোমেইনী (র.) এ ধারণায় ভীষণভাবে নাড়া দেন বেলায়াতে ফকীহ তত্ত্ব উপস্থাপন করে। অর্থাৎ ইমাম মাহদীর (‘আ.) আত্মগোপন অবস্থায় থাকাকালে ইসলামি সমাজ সঠিক নেতৃত্বশূন্য থাকতে পারে না, অন্য কথায়, খোদাদ্রোহী শক্তির হাতে রাষ্ট্রক্ষমতা তুলে দিয়ে কেউ নিছক ধর্মকর্ম নিয়ে দুনিয়া ও আখেরাতে কামিয়াব হওয়ার মিথ্যা দাবি করতে পারে না।
বেলায়াতে ফকীহর দৃষ্টিকোণ উপস্থাপন করে হযরত ইমাম খোমেইনী (র.) বলেন, যতদিন ইমামে যামান হযরত ইমাম মাহদী (‘আ.) আবির্ভূত হবেন ততদিন ইসলামি সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালিত হবে একজন ফকীহর নেতৃত্বে। এই কর্তৃত্ব ও নেতৃত্বের নামই বেলায়াতে ফকীহ।
হযরত ইমাম খোমেইনীর (র.) নেতৃত্বের অভাবনীয় সাফল্য হলো, তিনি এ তত্ত্বের ভিত্তিতে প্রাচীন সভ্যতা ও সংস্কৃতির লালনভূমি ইরানের গণমানুষকে একটি সর্বাত্মক আন্দোলনের জন্য উজ্জীবিত করেন এবং গোটা বিশ্বে তাক লাগানো গণবিপ্লবের মাধ্যমে আড়াই হাজার বছরের রাজতন্ত্রকে উৎখাত করে শতাব্দীর বিস্ময় ইসলামি বিপ্লবকে বিজয়ী করেন। হযরত ইমাম খোমেইনীর (র.) এ তত্ত্ব এতই বাস্তব ও দূরদর্শী যে, এর কল্যাণেই এ বিপ্লব এখনও তার সঠিক গতিধারার উপর অবিচল আছে।
ইসলামের স্বর্ণযুগের পর থেকে সমাজে আলেম সমাজের ভূমিকা নানাভাবে প্রশ্নবিদ্ধ হয় ও তাঁদেরকে কোণঠাসা করে রাখা হয়। সমাজের সর্বত্র এমন ধারণার বিস্তার ঘটানো হয় যে, সমাজের নেতৃত্ব দানের যোগ্যতা আলেমদের নেই। তাঁরা কেবল কবর ও পরজগত নিয়ে ব্যস্ত থাকবেন।। জন্মের সময়ে আজান দেওয়া আর মৃত্যুর সময় জানাযা পড়ানো ও নামায-কালামের বাইরে তাঁদের কাজ নেই। সমাজ বা রাষ্ট্রের কোনো দায়িত্ব পালনের যোগ্যতা তাঁদের নেই। সে ক্ষেত্রে হযরত ইমাম খোমেইনী (র.) ইরানে ইসলামি বিপ্লবের বিজয়ের মধ্য দিয়ে প্রমাণ করেন যে, আলেম সমাজ ইসলামি রাষ্ট্র পরিচলনার যোগ্যতা রাখেন। শুধু তা-ই নয়, যুগের সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে ইসলাম একটি বিজয়ী আদর্শ এবং আলেম সমাজই তার ঝাণ্ডাবাহী হতে পারে – তিনি এ সত্যকে বাস্তব দৃষ্টান্তের মাধ্যমে দুনিয়ার সামনে পেশ করেন।
ইসলামি জাহানের মূল সমস্যা ফিলিস্তিন এবং বায়তুল মোকাদ্দাস। দীর্ঘদিন হলো ইসলামের প্রথম কিবলাহ্ মসজিদুল আকছার স্বাধীনতা যায়নবাদী ইসরাইলের কব্জায় চলে গেছে, আর মজলুম ফিলিস্তিনি জনগণের উপর অবর্ণনীয় জুলুম নির্যাতন চালানো হচ্ছে। এ কাজে যায়নবাদী ইসরাইল সরকারকে মদদ যোগাচ্ছে সাম্রাজ্যবাদী আমেরিকা, ব্রিটেন, রাশিয়া তথা বিশ্বের সকল পরাশক্তি। তার সঙ্গে আরব দেশসমূহের সরকার-প্রধানরা ইসরাইলের মোকাবিলায় বশ্যতার নীতি গ্রহণ করায় ফিলিস্তিন ও আল-কুদ্সের মুক্তির স্বপ্ন বাস্তবায়িত হতে পারছে না। মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকার প্রধান বরকন্দায ছিল ইরানের শাহানশাহ মোহাম্মাদ রেযা পাহলাভী। যায়নবাদী ইসরাইলের সাথে ছিল তার আঁতাত। ইসলামি বিপ্লবের পর হযরত ইমাম খোমেইনী (র.) প্রথম পদক্ষেপেই ইসরাইলের সাথে সর্বপ্রকার সম্পর্ক ছিন্ন করেন এবং তেহরানে অবস্থিত ইসরাইলি দূতাবাসকে ফিলিস্তিন দূতাবাসে রূপান্তরিত করেন। তাঁর এ পদক্ষেপ ফিলিস্তিনি জনগণের মধ্যে নতুন আশাবাদের সঞ্চার করে।
হযরত ইমাম খোমেইনীর (র.) দৃষ্টিতে মসলিম অধ্যুষিত দেশসমূহ যদি ঐক্যবদ্ধ হয় তাহলে ফিলিস্তিন ও আল-কুদস মুক্ত হওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র। এ জন্য সর্বপ্রথম মুসলিম উম্মাহর মধ্যে জাগরণ আনতে হবে এবং আল-কুদস ইস্যুকে মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় ও রাজনৈতিক ইস্যু হিসেবে গ্রহণ করতে হবে। এ লক্ষ্যে তিনি পবিত্র মাহে রমজানের শেষ শুক্রবারকে বিশ্ব আল-কুদস দিবস হিসাবে পালনের ঘোষণা দেন। তাঁর এ ঘোষণা যে অত্যন্ত সময়োপযোগী ও বাস্তবধর্মী ছিল তাতে সন্দেহের অবকাশ নেই।
ইরানে ইসলামি বিপ্লব বিজয় লাভের পর পরই দেশের অভ্যন্তরে অন্তর্ঘাতমূলক অনেক তৎপরতা চালানোর পাশাপাশি ইরাকের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনকে দিয়ে একটি সর্বাত্মক যুদ্ধ চাপিয়ে দেয়া হয়। এরপর আমেরিকা ও তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন সহ বিশ্বের সকল পরাশক্তি সর্বপ্রকার যুদ্ধসরঞ্জাম দিয়ে সাদ্দামকে সহায়তা করে। প্রতিক্রিয়াশীল আরব শেখরা তাদের ধনভাণ্ডার সাদ্দামের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়। এ যুদ্ধ নবপ্রতিষ্ঠিত ইসলামি বিপ্লবকে অঙ্কুরেই বিনষ্ট করে দিতে পারত। সেই যুদ্ধ দীর্ঘ আট বছর স্থায়ী হয়। কিন্তু হযরত ইমাম খোমেইনীর (র.) বিচক্ষণতায় দুনিয়ার সকল পরাশক্তির পরিকল্পনা নস্যাৎ হয়ে যায়। যুদ্ধের অবসান হয় এবং তাতে উন্নত শিরে বিজয়ী হন হযরত ইমাম খোমেইনী (র.) ও ইরানের ইসলামি বিপ্লব।
ইসলামি বিপ্লবের আগে ইরান যুদ্ধাস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জামের ব্যাপারে সম্পূর্ণ নির্ভরশীল ছিল আমেরিকার উপর। ইরানের শাহ ছিল এতদঞ্চলে আমেরিকার প্রধান এজেন্ট। সেনাবাহিনীতে প্রাধান্য ছিল ইসরাইলি সামরিক বিশেষজ্ঞদের এবং অস্ত্রশস্ত্রের যোগান আসত আমেরিকা ও ইসরাইল থেকে।
কিন্তু ইসলামি বিপ্লবের ফলে ইরান অন্যান্য খাতের ন্যায় অস্ত্র খাতেও আত্মনির্ভরশীল হয়। তার সামরিক শক্তি এতখানি মজবুত হয় যে, ইরাকের তৎকালীন প্রেসিডেন্টে সাদ্দামের মাধ্যমে প্রক্সি যুদ্ধে বলতে গেলে সকল পরাশক্তি ইরানের কাছে পরাভব মানে। বর্তমানে ইরানের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র শক্তি এতখানি প্রবল যে, সকল পরাশক্তি এখন ইরানের সামরিক সক্ষমতাকে সমীহ করে চলছে। ইরান নিজস্ব প্রযুক্তিতে মহাশূন্যে উপগ্রহ পাঠিয়েছে এবং ক্ষেপণাস্ত্র শক্তিতে মধ্যপ্রাচ্যে প্রধান শক্তিতে পরিণত হয়েছে।
হযরত ইমাম খোমেইনীর (র.) নেতৃত্বে ইরানের ইসলামি বিপ্লবের আরেকটি সাফল্য হলো নারীদের ক্ষমতায়ন। দীর্ঘদিন থেকে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে যে, ইসলাম পর্দার বিধান দিয়ে নারীদেরকে সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় কর্মকাণ্ড থেকে বাধা দেয় এবং নারীর সাম্য, মুক্তি ও প্রগতির অন্তরায়। তাদের মুখরোচক স্লোগান হলো, হিজাব প্রগতির অন্তরায়। কিন্তু ইরানের ইসলামি বিপ্লব এ প্রচারণাকে মিথ্যা প্রমাণ করেছে। ইরানি মহিলারা হিজাব সহকারে সমাজের সর্বস্তরে তাঁদের উপস্থিতির মধ্য দিয়ে বিশ্ববাসীর সামনে প্রমাণ করেছেন যে, হিজাব প্রগতির অন্তরায় নয়। হিজাব সহকারে তাঁরা শিক্ষায়, গবেষণায়, অফিস-আদালতে, বিজ্ঞানচর্চায়, এমনকি ক্রীড়াঙ্গনে ও যুদ্ধক্ষেত্রে তাঁদের যোগ্যতার প্রমাণ উপস্থিত করেছেন। তাঁরা বিশ্বঅলিম্পিকের বিভিন্ন ইভেন্টে বিশ্ববাসীর সামনে নিজেদের যোগ্যতার স্বাক্ষর রেখেছেন। ইরানের সমাজে এমন কোনো ক্ষেত্র নেই যেখানে মহিলারা পুরুষের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যোগ্যতার সাথে দায়িত্ব পালন করছেন না।
ইরানের ইসলামি বিপ্লবের আরো একটি উজ্জ্বল দিক হলো, দেশের যুব সমাজকে ইসলাম ও জাতি গঠনের জন্য উদ্বুদ্ধ করা। ইরানি যুবকদের মাঝে আত্মত্যাগের যে প্রেরণা সৃষ্টি করা হয়েছিল এবং এখনো যা বলবৎ আছে, তা পৃথিবীর সব দেশের জন্য ঈর্ষণীয়। বিশ্বে অনেক দেশে বিপ্লব হয়, দেখা যায়, যারা বিপ্লব করেছে তারা কিছুদিন পরে বিপ্লবের গতিধারা থেকে বিচ্যুত হয়ে পড়ে বা ক্ষমতা তাদের হাতে থাকে না। এ ক্ষেত্রে ইরানের ইসলামি বিপ্লবের দৃষ্টান্ত সবার জন্য অনুসরণীয়। বেলায়াতে ফকীহ বা রাহবারের হাতে সর্বোচ্চ ক্ষমতা থাকার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে বিপ্লবের শুরুতে যাঁরা ছিলেন তাঁরাই এখনো এই বিপ্লবের কাণ্ডারির ভূমিকা পালন করছেন। এটাও বিপ্লবের নায়ক ইমাম খোমেইনীর দূরদর্শিতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।