বৃহস্পতিবার, ৪ঠা জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২০শে আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

English

ইউনেস্কোর জীবমণ্ডল সংরক্ষিত এলাকা ইরানের কোপেত দাগ

পোস্ট হয়েছে: আগস্ট ১৪, ২০১৮ 

news-image

জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা ইউনেস্কোর জীবমণ্ডল সংরক্ষণ এলাকার স্বীকৃতি পেয়েছে ইরানের কোপেত দাগ। দেশটির উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় নর্থ খোরাসান প্রদেশের শিরভান কাউন্টিতে কোপেত দাগ এলাকাটি অবস্থিত। সম্প্রতি ইউনেস্কো জীবমণ্ডল সংরক্ষণের আওতায় এ এলাকাটিকে অন্তর্ভক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নর্থ খোরাসান প্রদেশের পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রধান আসগার মোতাহহারি।

কোপেত দাগ ১৮ হাজার হেক্টর জমির বিস্তৃত এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে। এটি একটি সংরক্ষিত এলাকা। অঞ্চলটি ঘন বন আর বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা ও প্রাণীতে পরিপূর্ণ।

তুর্কমেনিস্তান সীমান্ত সংলগ্ন ইরানের কোপেত দাগ মূলত একটি পাহাড়ি এলাকা। এর আংশিক জুড়ে রয়েছে জীবমণ্ডল সংরক্ষণ অঞ্চল। কোপেত দাগের পরিবেশগত অঞ্চল ইরান-আনাতোলিয়ান জীববৈচিত্র্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই এলাকাটি বিপন্ন প্রজাতির অনেক প্রাণীর সংরক্ষণের জন্য গড়ে তোলা হয়েছে। ইউনেস্কোর ওয়েবসাইট মতে, ওই এলাকার বাসিন্দাদের প্রধান অর্থনৈতিক কার্যক্রম হলো কৃষি ও পশুপালন।

আসগার মোতাহহারি বলেন, জীবমণ্ডল অঞ্চলটির আশি ভাগেরও বেশি এলাকা ইরানের মধ্যে পড়েছে। তিনি জানান, ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পেতে ওই এলাকায় বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়। যার মাধ্যমে এলাকাটি আন্তর্জাতিক সমর্থন লাভ করতে সক্ষম হয়।

মোতাহহারি আরও বলেন, ইউনেস্কোর জীবমণ্ডল সংরক্ষণের বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী প্রাকৃতিক সম্পদের ওপর স্থানীয় সম্প্রদায়ের নির্ভরশীলতার পরিমাণ কমিয়ে আনতে হয়। সে লক্ষ্যে জীবমণ্ডল সংরক্ষণ ব্যবস্থাপনায় স্থানীয় সম্প্রদায়কে সম্পৃক্ত করা হয়েছে। প্রথম ধাপে ইরান স্থানীয়দের জীবিকা সরবরাহের পাশাপাশি মানব পরিবেশ দ্বন্দ্ব কমিয়ে আনতে স্থানীয়দের সক্ষমতা তৈরির ওপর নজর দেবে।

ইরানি বার্তা সংস্থা ইরনার খবরে বলা হয়, পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রধান জানান, কোপেত দাগকে ইউনেস্কোর স্বীকৃতি প্রদানকে উদযাপন করবে ইরান। ইরানি মাস শাহরিভারের (২২ আগস্ট থেকে ২২ সেপ্টেম্বর) প্রথমার্ধে এই উৎসবের আয়োজন করা হবে বলে জানান এই কর্মকর্তা। সূত্র: তেহরান টাইমস।